তার অমানবী সতিন সকল

আজকাল রশ্মির অহনিশি চিন্তা কোন কোন পার্থিব-অপার্থিব জিনিষগুলো তার থেকে শিশিরকে বিন্দু-পরিমাণ দূরে রাখতে ভূমিকা রাখতে পারে। বিজ্ঞান বেগ দিয়ে নাকি আবেগ কেড়ে নিয়েছে, কিন্তু বিন্দুর পাগলামি দেখেতো মনে হয় প্রযুক্তি তাকে আরো বেশি আবেগী করেছে। না, এটি কোনো রোবট মানব-মানবীদের কল্প কাহিনী নয় – শিশির আর রশ্মির ভালাসার গল্প এটি। তাদের কখনো দেখা হয়নি – ঐ যে ইংরেঝিতে বলে “লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ” সেই ভালবাসা তাদের। যেখানে, যেই যুগে, ঘন্টা-মিনিটের পরিচয়ে সব ব্যবধানে ছাড়িয়ে ডেটিংয়ে চলে যায় হাল আমলের জুটিরা, সেখানে দুজন অধরায় রয়ে গেল। তবুও ভাটা পড়েনা তাদের প্রেমের জোয়ারের।

শিশির একজন হবু তথ্য-প্রযুক্তি বিষারদ। তার দিবা-নিশি ধ্যান-জ্ঞান এসব নিয়েই, আর বাদ বাকিটুকু? বাদ বাকিটুকু রশ্মি – সে চাক বা না চাক। পূর্ব আকাশের সূর্য যেমন সকালের প্রাক্কালে শিশিরকে চুরি করে নিয়ে যায় ঐ আকাশে, রশ্মিও তেমন শিশিরের একটু সময় হলেই রক্ষা নেই, সবকিছু থেকে যেন তাকে চুরি করা চাইই চাই। মাঝে মাঝে শিশির রুদ্ধশ্বাস হয়ে যায় মনে মনে, রেগে যায়, কিন্তু রেগে গিয়ে সে অদ্ভুতভাবে চুপ করে থাকে। রশ্মি তখন বলে,

“তুমি আমাকে বকো, গালি দাও, যা ইচ্ছে তাই বলো। কিন্তু, চুপ করে থেকোনা”।

যা কিছুই ঘটুক, শিশির কখনো রশ্মিকে গালি দেয়না, বকেনা। হঠাৎ কখনো যদি কিছু গুরুগম্ভির কন্ঠে বলে তা নাকি রশ্মির কাছে বকা মনে হয়। রশ্মি চুপ করে শুনে বলে,

“কি সুন্দর করে বকা দেয়, ইচ্ছা করে জড়িয়ে ধরি। এত কিউট করে কথা বললে মেয়েরা পটে যাবে। আমার ভয় হয় কখন কে নিয়ে যায় তোমাকে”।

[incomplete, complete the story]


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *